Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

দর্শনীয় স্থান

নিঝুম দ্বীপ

banner3

নোয়াখালী জেলার দক্ষিণে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত হাতিয়া উপজেলার সর্বদক্ষিণে নিঝুমদ্বীপের অবস্থান। ১৯৪০ এর দশকে এই দ্বীপটি বঙ্গোপসাগর হতে জেগে উঠা শুরু করে। চর গঠনের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে ৪০ এর দশকের শেষদিকে নিঝুমদ্বীপ তৃণচর বা গোচারণের উপযুক্ত হয়ে উঠে। মাছ ধরতে গিয়ে হাতিয়ার জেলেরা নিঝুমদ্বীপ আবিস্কার করে। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি নিঝুমদ্বীপে জনবসতি শুরু হয়। মূলত হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়ন হতে কিছু জেলে পরিবার প্রথম নিঝুমদ্বীপে আসে। নিঝুমদ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর ইছা মাছ (চিংড়ি মাছ) ধরা পড়তো বিধায় জেলেরা এই দ্বীপের নাম দেয় ‘‘ইছামতির দ্বীপ’’। এই দ্বীপটিতে মাঝে মাঝে বালির ঢিবি বা টিলার মত ছিল বিধায় স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বলেও ডাকতো। কালক্রমে ইছামতি দ্বীপ নামটি হারিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকেরা এখনো এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বলেই সম্বোধন করে। নিঝুম দ্বীপ বা বাইল্যার ডেইল যে নামই হোক না কেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের দিয়ারা জরিপ বিভাগ এই দ্বীপের জমি চর ওসমান মৌজা হিসেবে জরিপ করে। কথিত আছে সর্দার ওসমান নামের এক সাহসী বাথানিয়া ১০০ মহিষ নিয়ে প্রমত্তা মেঘনা পাড়ি দিয়ে প্রথম এই দ্বীপে অসে এবং দিয়ারা জরিপ কর্মচারীদেরকে জরিপ কাজে প্রভূত সহায়তা করে বিধায় তার নামে অনুসারে নিঝুম দ্বীপে মৌজার সরকারি নাম হয় ‘চর ওসমান’। সমগ্র নিঝুম দ্বীপের প্রায় ৩০০০.০০ একরে মানুষের বসতি রয়েছে এবং অবশিষ্ট অংশে ম্যানগ্রোভ বনায়ন রয়েছে। ইছামতির দ্বীপ, বাইল্যার চর বা চর ওসমান যে নামেই স্থানীয়ভাবে প্রচলিত হোক না কেন ৮০ এর দশকের শুরু হতে এই দ্বীপটি বাংলাদেশের জনগণের নিকট নিঝুম দ্বীপ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

কিভাবে যাওয়া যায়:

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে প্রথমে সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড যেতে হবে। সেখান থেকে চেয়ারম্যান ঘাট গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সা যোগে চেয়ারম্যান ঘাটে নামতে হবে। অতঃপর সীট্রাক/লঞ্চ সার্ভিসে নলচিরা ঘাটে নেমে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে জাহাজমারা ঘাটে গিয়ে নৌকাযোগে জাহাজমারা চ্যানেল পার হয়ে নিঝুম দ্বীপ পৌঁছা যাবে।

 

গান্ধী আশ্রম

gandhi ashrom

গান্ধী আশ্রম নোয়াখালীর একটি দর্শনীয় ঐতিহাসিক নিদর্শন। নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী কোর্ট হতে প্রায় ২৫ কিঃমিঃ উত্তরে সোনামুড়ী উপজেলার জয়াগ বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে এর অবস্থান। তৎকালীন জমিদার প্রয়াত ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে উক্ত গান্ধী আশ্রম স্থাপিত হয়। বর্তমানে গান্ধী আশ্রম নোয়াখালীর একটি সেবামূলক সংগঠন হিসেবে দেশব্যাপী খ্যাতি লাভ করেছে। ব্যতিক্রমধর্মীএ প্রতিষ্ঠানটির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, ১৯৪৬- এরশেষভাগে সারা ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে। তখনপশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রভাব এসে পড়ল নোয়াখালীতে। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানায় সাম্প্রদায়িকতার তান্ডবলীলা দেখা দেয়। মশালের আগুনে পুড়ে যায় বহু সাজানো সংসার, সবুজ মাটি লাল হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রক্তের প্লাবনে।

শান্তি মিশনের অগ্রদূত হয়ে নোয়াখালীতে ছুটে আসেন অসহযোগ ও অহিংস আন্দোলনের পুরোধা মহাত্মা গান্ধী। ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর চৌমুহনী রেলস্টেশনে প্রথম মহাত্মাগান্ধী নোয়াখালীর মাটিতে পদার্পন করেন। তৎকালীন এম.এল.এ. শ্রী হারান ঘোষ চৌধুরীর উদ্যেগে নোয়াখালীর প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয় চৌমুহনীতে। মহাত্মা গান্ধী সে জনসভায় প্রথম বক্তৃতা করেন। তারপর জনসভা করেন দত্তপাড়া গ্রামে। ধারাবাহিকভাবে চলল তাঁর পরিক্রমা। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি জয়াগ গ্রামে এসে পৌঁছেন। সেদিনইনোয়াখালী জেলার প্রথম ব্যারিস্টার জয়াগ গ্রামের কৃতী সন্তান হেমন্তকুমারঘোষ মহাশয় তাঁর জমিদারির স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি জনকল্যাণখাতেব্যয়েরউদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধীর নামে উৎসর্গ করেন। আশ্রম পরিচালনার ভার দেয়া হয় গান্ধীজীর স্নেহভাজন, জনসেবা ব্রতী, চিরকুমার শ্রীযুক্ত চারু চৌধুরী মহাশয়ের ওপর। তখন হতে উক্ত সম্পত্তি সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় অধিবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিব হিসাবে কর্মরত আছেন শ্রীমতি ঝর্ণা ধারা চৌধুরী (৭২)।

কিভাবে যাওয়া যায়:

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সা যোগে সম্মুখে জয়াগ বাজার নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে আধা কিলোমিটার পুর্বে গেলে গান্ধী আশ্রমে পৌঁছা যাবে।

 

বজরা শাহী জামে মসজিদ

bazra

নোয়াখালী মাইজদী প্রধান শহর হতে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ উত্তরে সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরানামক স্থানে প্রধান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে বিখ্যাত এই বজরা শাহী জামে মসজিদঅবস্থিত। নোয়াখালীসহ সমগ্র বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে রয়েছে এর ঐতিহাসিক অবদান। দিল্লীর মোগল সম্রাটগণ অবিভক্ত ভারতবর্ষে ৩০০ বছরের অধিকাল রাজত্ব করেন। এদীর্ঘ সময়কালে মোগল সম্রাটগণ এবং তাদের উচ্চপদস্থ আমলারা বিভিন্ন স্থানেঅসংখ্য ইমারত, মসজিদ নির্মাণ করেন যা আজো স্থাপত্য শিল্পের বিরল ও উজ্জ্বলনির্দশন হিসেবে বিরাজমান। এগুলোর মধ্যে আগ্রার তাজমহল, সেকেন্দ্রা, দেওয়ানে আম, আগ্রার দূর্গ, দিল্লীর লাল কেল্লা ও দিল্লির শাহী জামে মসজিদ অন্যতম। দিল্লীরবিখ্যাত জামে মসজিদের অনুকরণে মোগল জমিদার আমান উল্লাহ খান ১১৫৪ হিজরিসাল, ১১৩৯ বাংলা মোতাবেক ১৭৪১ সালে অর্থাৎ প্রায় তিনশত বছর পূর্বে বজরাশাহী মসজিদ নির্মাণ করেন যা আজও মোগল স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শনহিসেবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে।

জমিদার আমান উল্যাহ্ তাঁর বাড়ীর সম্মুখে ৩০ একর জমির উপর উঁচু পাড় যুক্ত একটি বিশাল দীঘি খনন করেন। এদিঘীর পশ্চিম পাড়ে মনোরম পরিবেশে আকর্ষণীয় তোরণ বিশিষ্ট প্রায় ১১৬ ফুটদৈর্ঘ্য ৭৪ ফুট প্রস্থ এবং প্রায় ২০ ফুট উঁচু ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট এ ঐতিহাসিকমসজিদখানা নির্মাণ করেন। এ মসজিদকে মজবুত করার জন্য মাটির প্রায় ২০ ফুট নিচ থেকে ভীত তৈরী করা হয়। সুদৃশ্য মার্বেল পাথর দ্বারা গম্বুজগুলো সুশোভিত করা হয়। মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৩টি ধনুকাকৃতি দরজা। মসজিদের প্রবেশ পথের উপর রয়েছে কয়েকটি গম্বুজ। কেবলা দেওয়ালে ৩টি কারুকার্য খচিত মিহরাব আছে।

মোগলসম্রাট মোহাম্মদ শাহের বিশেষ অনুরোধে পবিত্র মক্কা শরীফের বাসিন্দাতৎকালীন অন্যতম বুজুর্গ আলেম হযরত মাওলানা শাহ আবু সিদ্দিকী এ ঐতিহাসিকমসজিদের প্রথম ইমাম হিসেবে নিয়োজিত হন। তাঁর বংশধরগণ যোগ্যতা অনুসারে আজো এ মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে প্রথম ইমাম সাহেবের সপ্তম পুরুষ ইমাম হাসান সিদ্দিকী উক্ত মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

জনশ্রুতি রয়েছে যে, এ মসজিদে কিছু মানত করলে তাতে শুভ ফল পাওয়া যায়। তাই দেখা যায় যে, দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি পাওয়ার আশায় অগণিত মহিলা ও পুরুষ প্রতিদিন এ মসজিদে টাকা পয়সা সিন্নি দান করেন। এছাড়া বহু দূর- দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ ঐতিহাসিক মসজিদখানার ঐতিহ্য রক্ষার্থে এবং দুর্লভ নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে।

কিভাবে যাওয়া যায়:

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সাযোগে বজরা হাসপাতালের সম্মুখে নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে ২০০ গজ পশ্চিমে গেলে বজরা শাহী মসজিদে পৌঁছা যাবে।

 

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর

ruhul

 

 

মুক্তিযুদ্ধেরবীর সেনানী  বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জাতীয় সাত বীরশ্রেষ্ঠের একজনসোনাইমুড়ীবাসীর গর্বের ধন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন। তাঁর নামে  গ্রন্থাগার ওস্মৃতি জাদুঘর বিগত ২০ জুলাই ২০০৮ সালে স্থাপন করা হয়। নোয়াখালী জেলা সদরথেকে ২৫ কিঃমিঃ উত্তর এবং সোনাইমুড়ী উপজেলার সদর থেকে ৮ কিঃমিঃ পশ্চিমেদেওটি ইউনিয়নভুক্ত বর্তমান রুহুল আমিন নগর(বাগপাচড়াগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠশহীদ মোঃ রুহুল আমিনের পৈত্রিক ভূমিতে নির্মাণ করা হয় এ গ্রন্থাগার ওস্মৃতিজাদুঘর।বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিনের পরিবারের সদস্যগণ কর্তৃকদানকৃত ০.২০ একরভূমিতে(৬২.৯০(বাষট্টি লক্ষ নববই হাজারটাকা ব্যয়েনির্মাণ করা হয় আধুনিক সুযোগসুবিধা সম্বলিত এ গ্রন্থাগার ও স্মৃতিজাদুঘর। এ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে একটি সুপরিসর এবং সুসজ্জিত পাঠকক্ষছাড়াও অভ্যর্থনা কক্ষ, তত্ত্ববধায়ক ওলাইব্রেরিয়ানের জন্য আলাদা কক্ষরয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীজেলার বর্তমান সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন ৯নং দেওটি ইউনিয়নের রুহুল আমিন নগর(বাগপাচড়া) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আজাহার পাটোয়ারী এবংমাতার নাম জুলেখা খাতুন। তিনি বাল্য জীবনে বাগপাচড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়েলেখাপড়া করেন। ১৯৪৯ সালে আমিশাপাড়াকৃষক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাসকরেন।

কিভাবে যাওয়া যায়:

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সা যোগে নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতিজাদুঘরে পৌঁছা যাবে।

 

নোয়াখালীর মেলা

নলদিয়া দরগাহ মেলা: ইয়ামেন থেকে আগত আধ্যাত্মিক পুরুষ দেওয়ান ফকির আবদুর রশিদ (রহ.) এর ওফাত দিবস উপলক্ষে  ফেনী  ও নোয়াখালী জেলার মিলনস্থল দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুরে দীর্ঘদিন ধরে বছরের ১ মাঘ থেকে সপ্তাহব্যাপি এ মেলার আয়োজন হয়ে আসছেএকসময়এ মেলায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম ঘটতো। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা গত কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন কারনে ভাটার মধ্যে রয়েছে। ফেনী-নোয়াখালীর বিখ্যাত হোটেলগুলো এসে এ মেলাকে যেমন আলোকিত করতো তেমনি যাত্রা, সার্কেস, নাগরদোলা, শিশুদের পুতুল নাচ, খেলনা দোকান, সাগরের বড় বড় মাছ এবং ঐতিহাসিক কাঠের ফার্ণিচার এ মেলার প্রধান বাণিজ্য ছিল। সরকারী দস্তাবেজ অনুসারে ১৯২৩ সালে এই মেলার কথা উঠে আসলেও বয়স্ক লোকেরা বলেন তারা তাদের বাপ দাদার কাছেও এই মেলার কথা শুনেছেন। এই মেলায় পাওয়া যেতনা এমনকোনো পন্য নেই। আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনের অংশ এই মেলা। মেলার সময় বউরা বাপের বাড়ী থেকে স্বামীর বাড়ী চলে আসে। আর এলাকার ঝিয়েরা চলে আসে বাপের বাড়ীতে। জামাই বেড়াতে যায় মেলা থেকে বড়ো মাছটি নিয়ে শ্বশুরবাড়ী আর মেয়েজামাইবাড়ীতে মেলার ফল মিষ্টি পাঠানো ছিলো এলাকার রেওয়াজ। বিগত কয়েক বছর ধরে কাঠের ফার্নিচার ক্রয় বিক্রয়ের জন্য এই মেলা দেশব্যাপী প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।

কিভাবে যাবেন? ঢাকা থেকে বসুরহাটের বাসে উঠতে হবে। সায়দা বাদ বা টিটি পাড়া থেকে ছাড়ে। এই মেলা ১৫ জানুয়ারী থেকে শুরু হয় ২ সপ্তাহের জন্য। মাঝে মধ্যে সরকারী অনুমতি না পেলে এতে ব্যাঘাত ঘটে। ড্রিম লাইন অথবা সেবা বাসে চড়ে। বসুরহাটের আগেই দুধমুখা বাজারে নামতে হবে। ভাড়া ২৭০ টাকা। আর এসিবাসে গেলে ৩৬০ টাকা। দুধমুখা থেকে সিএনজি বা রিকশায় যাওয়া যায় মেলায়। রিক্সাভাড়া ২০ টাকা।
আমতলী মেলাঃ

পাকিস্তান আমলের প্রথম দিকে  একটি কৃষি মেলার আয়োজন  থেকে এই মেলার শুরু। বাংলা মাঘ মাসের ৫-১০ তারিখ পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।মেলার পাশে বিশাল আকারের একটি আমগাছ ছিল বিধায় মেলার নামকরণ করা হয় আমতলী কৃষি প্রদশনী মেলা। পরে এটি একটি বহুমাত্রিক মেলায় পরিণত হয়।  ঘোড় দৌড়, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ ছিল এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ। বর্তমানে নাগরদোলা, সার্কাস, মোটর রেস ইত্যাদি নানা বিনোদন আয়োজন থাকে। আগে যাত্রাপালা হলেও এখন তা একরকম উঠে গেছে।

আপনার ভ্রমণকে নিরাপদ ও আনন্দময় করতে আপনার পাশে রয়েছে চলবে ডট কম। আপনি দেশের যেকোনো জায়গায় ভ্রমণের জন্য চলবে ডট কম এর সেবা নিতে পারেন। বিমান টিকেট, বাস টিকেট, ট্রেন টিকেট, লঞ্চ টিকেট, হোটেল বুকিং ও মোবাইলে অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড, টপআপ, রিলোড, ইফিল, রিফিল, রিচার্জ করার জন্য অবশ্যই আসুন www.cholbe.com এ। চলবে ডট কম এর কাস্টমার কেয়ার নাম্বারে যোগাযোগ করুন যেকোনো সেবা পেতে। ফোন: 01709 962797। বিমানের টিকেট ছাড়াও ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেস ও ট্যুর অপারেট করার জন্য চলবে ডট কম বিশ্বস্ত নাম। আপনি চলবে.কম এর সাথে যোগাযোগ করতে যুক্ত থাকুন ফেসবুকে পেজের সাথে //www.facebook.com/CholbeTeam. আমাদের রয়েছে নিজস্ব পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা যার মাধ্যমে আমরা নিরাপদ ও সহজে আপনার কাছ থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারি।

মুসাপুর বেড়ীবাঁধ:

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা হেডকোয়াটার থেকে আনুমানিক ২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাবাজার পার হয়ে মুছাপুর বেড়িবাঁধ, স্লুইসগেট, নদী, কৃত্রিমবন এবং গ্রামীণপটভূম মিলে এক সুন্দর নয়নাভিরাম ল্যান্ডস্ক্যাপ চোখে পড়ে।জায়গাটা সাধারণ, ধান নদী, খাল ঝোপজাতীয় বন। দূরে আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে চট্টগ্রামের মিরশ্বরাইতে অবস্থিত ছোট ছোট পাহাড়ের সারি।

যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ নোয়াখালীর লোকসাহিত্য। এখানকার পালাগান, সৎভাই, আপনদুলাল, বান্দরের কিচ্চা, সয়ফুল মুলুক বদিউজ্জামান, কানির কিচ্চা খুবই সমৃদ্ধ। এসব ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে জানি না আদৌ এসব উদ্ধার করা যাবে কিনা। রাখালী পত্রিকা এবং ফোকলেন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার এসব উদ্ধার করার উদ্বেগ নিয়েছি কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেটা সম্ভব হয়নি।

কিভাবে যাবেন? ঢাকা থেকে বসুরহাটের বাসে উঠতে হবে। সায়দা বাদ বা টিটি পাড়া থেকে ছাড়ে। এই মেলা ১৫ জানুয়ারী থেকে শুরু হয় ২ সপ্তাহের জন্য। মাঝে মধ্যে সরকারী অনুমতি না পেলে এতে ব্যাঘাত ঘটে। ড্রিম লাইন অথবা সেবা বাসে চড়ে। বসুরহাটে  নামতে হবে। ভাড়া ২৭০ টাকা। আর এসিবাসে গেলে ৩৬০ টাকা। েএখান থেকে বাসে যাওয়া যাবে বাংলাবাজার। সিএনজিও রয়েছে। সেখান থেকে রিকসা বা সিএনজিতে মুছাপুর ক্লোজার।  বলে রাখা ভালো যে এখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। থাকার জন্য সবচে কাছের শহর হলো ফেনী। সূতরাং ফেণীতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। অবশ্য আগে থেকে যোগাযোগ করলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলোতে থাকার ব্যবস্থা হতে পারে।